দাড়ি রাখা সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আদেশ
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ইবলিসের অঙ্গীকার হলো যে, আমি তাদেরকে (মানুষকে) আদেশ করবো যে, যা তারা মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিতে বিকৃতি বা পরিবর্তন ঘটাবে।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: আয়াত শরীফ ১১৯)
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় তাফসীর গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সৃষ্টিতে পরিবর্তনের মধ্যে এক মুষ্টির কমে দাড়ি কাটা, দাড়ি মু-ন করা, শরীরে উল্কি আঁকা ইত্যাদি কাজগুলি অন্তর্ভুক্ত।
কাজেই দাড়ি মু-ন করার কারণে যেহেতু ইবলিসের আদেশ পালিত হয়, সেহেতু দাড়ি মুন্ডন করা হারাম। আর হারাম থেকে বেঁচে থাকাটা ফরয-ওয়াজিব।
যে দশটি অপকর্ম ও নাফরমানীর কারণে হযরত লুত আলাইহিস সালাম উনার কওমকে ধ্বংস করা হয়েছিল, তারমধ্যে দাড়ি মু-ন করা এবং মোছ লম্বা করা- এ দুটি বিষয়ও ছিল। এছাড়া দাড়ি ও মোছ মু-ন করার দ্বারা মেয়ে লোকের সাদৃশ্য হয়ে যায়। এটাও হারাম। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “ওই সকল পুরুষের প্রতি লা’নত বা অভিশম্পাত যারা মেয়ে লোকের আকৃতি ধারণ করে।” (বুখারী শরীফ)
দাড়ি মু-ন করা বিধর্মী তথা মুশরিকদের বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখ রয়েছে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, তোমরা মুশরিকদের বিপরীত আমল করো অর্থাৎ দাড়ি লম্বা করো এবং মোছ খাটো করো। (বুখারী শরীফ)
অর্থাৎ দাড়ি চেছে ফেলা ও মোছ লম্বা করা মজূসী ও মুশরিকদের রীতি।